গাইবান্ধায় চুরির অভিযোগে ১২ বছরের কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়া হয়েছে তার চুল।
মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পন্ডিতপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, টিউবওয়েলের হাতল চুরির অভিযোগে সকালে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ওই কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন একই গ্রামের জাহানারা বেগম। এরপর তাকে মারধর করা হয়। পরে জাহানারা তার চুল কেটে দেন।
জাহানারাকে সহযোগিতা করেন ফারুক নামে একজন। পরে চোর ধরা পড়েছে- এমন খবর দেয়া হয় পুলিশকে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া সালিশের পর ওই কিশোরকে ছেড়ে দেন।
ওই কিশোর বলে, ‘ভোরবেলা ঘুম থাকি টানি তুলি আনচে মোক জাহানারা চাচি আর তার বেটা। মুই টিউকয়েলের (টিউবওয়েল) হ্যান্ডেল (হাতল) চুরি করম নাই। ওমরা শোনে না মোর কথা। মোক খুব মারছে ভাই। গাছের সাথে দড়ি দিয়ে আটকে রাখছিল। মাথার চুলগুলো কাটছে আর বড় বড় চর মারছে।’
কিশোরের চাচা শাহ আলম জানান, তার ভাইপোকে রশি দিয়ে দীর্ঘ সময় বেঁধে রাখা হয়। তাকে মারধরও করা হয়। একপর্যায়ে চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
জাহানারা বেগম ও তার সহযোগী এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া বলেন, ‘চুল কাটি গাছে বেঁধে রাখছিল। পরে আমাকে এক পুলিশ ডাকল। কাগজ করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গ্রাম পুলিশসহ সবার সামনে কিশোরকে আমার জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।’
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’