বাগেরহাটের পশুর নদীতে ৪০০ টন কয়লাবোঝাই ইপসিয়া মাহিম নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
পশুর চ্যানেলে বন্দর জেটির পাশের কাটাখালী এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জাহাজটির মাস্টার শাহালম নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সোমবার রাতে হাড়বাড়িয়ায় একটি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে এটি কয়লা নেয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে এটিকে পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করে রাখা হয়। কিন্তু তীব্র স্রোতে নোঙ্গর ছিঁড়ে আরেকটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এর তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজটি ডুবে যায়।
ওই জাহাজে ১০ জন ছিল। তারা সবাই সাঁতরে অন্য জাহাজে ওঠে।
বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, জাহাজটি পশুর চ্যানেলের বাইরে চরের দিকে ডোবায় মূল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে। ডুবে যাওয়া জাহাজটির কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার কথা ছিল।
বাগেরহাট পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ১৩টি জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর ৬ শ টন কয়লা নিয়ে এমভি জিয়ারাজ, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি ১ হাজার টন কয়লা নিয়ে এমভি আইচগাতি, ২০১৮ সালে ১৫ এপ্রিল ৭৭৫ টন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাশ, ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৭০০ টন কয়লা নিয়ে এমভি বিবি-১১৪৮ ও সর্বশেষ ৩০ মার্চ ৪ শ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এমভি এমভি ইফসিয়া মাহিন।
তবে সবচেয়ে আলোচিত সুন্দরবনের শেলা নদীতে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস ওয়েলবাহী ওটি সাউদান স্টার সেভেন ডুবির ঘটনা।
বাগেরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরেফিন বাদল নিউজবাংলাকে বলেন, কয়লার মধ্যে আর্সেনিক, সালফার, সিসাসহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা জলোজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে এই কয়লা যদি পানির মধ্যে থাকে তাহলে দূষণ বাড়বে।