বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের নামে ভোলায় গড়ে তোলা গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর আকৃষ্ট করতে পারছে না দর্শনার্থীদের। এর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও পরিকল্পনার অভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, নির্মানের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও, সরকারি সহযোগিতা ও প্রচারের অভাবে পূর্ণতা পায়নি বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি।
১৯৭১ সালে ১৮ এপ্রিল সহযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেন সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। সেই আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে দেয়া হয় বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব।
এর প্রায় তিন যুগ পর ২০০৮ সালে ভোলায় সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের গ্রামের বাড়ি আলীনগরে নির্মাণ করা হয় গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।
তবে দর্শনার্থীদের অভিযোগ, জাদুঘরটিতে আকৃষ্ট করার মতো মুক্তিযুদ্ধের তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। গ্রন্থাগারে নেই পর্যাপ্ত বই। জীর্ণ হয়ে পড়েছে আসবাবপত্র।
২০০৮ সালে নির্মাণ হয় গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি। ছবি: নিউজবাংলা
জাদুঘরে ঘুরতে আসা শান্ত, ইমতিয়াজ, ডালিমসহ আরও অনেকে জানান, জাদুঘরটি বাইরে থেকে সুন্দর হলেও ভেতরে তেমন কিছু নেই। ২০০৮ সালে নির্মাণের পর যেসব বই আনা হয়েছিল, তার সঙ্গে পরে আর কোনো বই যোগ হয়নি।
গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস পড়ছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা বলছেন, জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধকালীন ছবি, ভিডিও আর্কাইভ থাকলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ইতিহাস জানার সুযোগ পেত।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা সেলিম জানান, উদ্বোধনের সময় দেয়া কিছু বই আর মোস্তফা কামালের ব্যবহৃত কয়েকটি ঘটি-বাটি ছাড়া দেখার তেমন কিছু নেই। পাঠাগারের অবস্থাও করুণ।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের বসত বাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভোলা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবোধনে পরিচালিত হচ্ছে জাদুঘরটি। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মামুন আল ফারুক জানান, জাদুঘরে ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় নতুন করে বরাদ্দ দিলে একে ডিজিটাল করা সম্ভব হবে।