সারা বিশ্বে যখন করোনার টিকার জন্য হাহাকার, হবিগঞ্জে তখন উল্টো চিত্র। টিকা নিতে জনগণের মধ্যে আগ্রহ কম থাকায় এখান থেকে ২০ শতাংশ টিকা ফেরত যেতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা নিউজবাংলাকে জানান, একটি অসাধু চক্র টিকার ব্যাপারে অপপ্রচার চালানোর কারণে মানুষের মধ্যে টিকা নেয়ার আগ্রহ কমেছে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে উদ্বৃত্ত টিকা চাহিদা সম্পন্ন জেলায় পাঠানো হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি হবিগঞ্জে ৭২ হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা দেয়া শুরু হলে প্রথম দিকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল। ওই সময় টিকাগ্রহণের জন্য প্রতিদিন জেলার ৫ হাজারের বেশি মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেন। এর মধ্যে আড়াই থেকে ৩ হাজার মানুষকে প্রতিদিন টিকা দেয়া হতো।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একদিনেই জেলার ৯ উপজেলায় টিকা নেন ৩ হাজার ৪৫৮ জন। তবে এরপর থেকে টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা কমতে থাকে। ২৫ ফেব্রুয়ারির পর টিকাগ্রহীতার সংখ্যা নেমে যায় ১ হাজারের নিচে। আর ১৫ মার্চের পর থেকে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা দেড় শর ওপরে উঠেনি।
ফাইল ছবি
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে করোনা টিকা প্রয়োগে নিয়োজিত সিনিয়র নার্স রুকসানা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, প্রথম দিকে টিকা নিতে মানুষের চাপ বেশি থাকায় হিমশিম খেতে হয়েছে। আর এখন এই হাসপাতালে দিনে ৪০ থেকে ৫০ জন টিকা নিতে আসেন।
টিকাগ্রহণে আগ্রহ কমার কারণ সম্পর্কে জেলা সিভিল সার্জন কেএম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, টিকা নিয়ে একটি চক্র নানা অপপ্রচার চালানোর কারণে টিকাগ্রহণে মানুষের সংখ্যা কমেছে তিন গুণের বেশি। তবে জনগণকে বুঝতে হবে এ টিকা নেয়া খুবই জরুরি।
তিনি আরও জানান, হবিগঞ্জ জেলায় টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না। জেলায় অন্তত ২০ শতাংশ উদ্বৃত্ত টিকা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ফেরত পাঠানো হবে।
পাশ্ববর্তী জেলা মৌলভীবাজারে টিকার চাহিদা থাকায় তারা উদ্বৃত্ত টিকা চেয়েছেন জানিয়ে কেএম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমতি দিলে বাড়তি টিকাগুলো সেখানেও পাঠানো যেতে পারে।