হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলাকালে সড়কে নেমে মারধরে জড়ানোয় সিলেটে জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।সোমবার সিলেটে কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমান এ মামলা করেন। মামলায় পুলিশের কাজে বাধা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলায় ১৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, শনিবার সিলেট নগরীর নয়াসড়কে মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার দায়ে জামায়াত-শিবিরের ১৪ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।পরদিন রোববার হেফাজতের হরতাল চলাকালে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় জড়ো হয় শিবির। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এ সময় আরও পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া এজাহারে অজ্ঞাত আরও দেড় থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, রোববার হেফাজতের ডাকে সিলেটেও সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়। ভোর থেকে সিলেটের রাস্তায় অবস্থান করেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। তবে দুপুরের দিকে হেফাজতের কর্মীরা সরে গেলে সড়কে অবস্থান নেয় শিবির।
আগে থেকেই বন্দরবাজার এলাকায় অবস্থানে ছিল ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিবির।ওই সংঘর্ষের পর পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয় ও তিনজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন নগরের ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা মো. নিরব, একই এলাকার মো. হাছিব ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দির বাসিন্দা শাহীন আহমদ।এছাড়া শনিবার নয়াসড়ক থেকে গ্রেপ্তার ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- সিলেট নগরের উপশহর ই ব্লকের ৬নং রোডের বাসিন্দা জুয়েল আহমদ, নগরীর সুরমা টাওয়ারের বাসিন্দা জুনেদ আহমদ, সিলেট নগরীর বাদামবাগিচার মো. মিজানুর রহমান মুন্না, নিপবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা খায়রুল হাসান, জালালাবাদ থানার উমাইরগাঁওর মো. মাজহারুল ইসলাম, নগরীর আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাইর তোফায়েল আহমদ, নগরীর ইসলামপুরের হাফিজুর রহমান, নেত্রকানার খালিয়াজুড়ি থানার বল্লি গ্রামের মো. আলী মর্তুজা, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা হবিনন্দির মো. নাজিম উদ্দিন রেজা, দক্ষিণ সুরমার খালপাড়ের মাহবুবুর রহমান, ফেনী জেলা সদরের উত্তর ফাজিলপুরের মো. জাহিদুল ইসলাম, সিলেট নগরীর মিতালি টিভি গেইটের মো. তাহের আহমদ, উপশহর এ ব্লকের মো. মোজাহিদুল ইসলাম ও শাহপরাণ থানার মুক্তিরচরের মো. সাইদুল ইসলাম।