বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ কালু আর নেই

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২১ ২১:০১

সর্বস্ত‌রের মানুষ শ্রদ্ধা নি‌বেদনের জন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এস‌সি‌জিএম বিদ‌্যাল‌য় প্রাঙ্গণে ইউসুফ কালুর মরদেহ রাখা হবে। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এরপ‌র জানাজা শেষে তার গ্রা‌মের বা‌ড়ি ঝালকা‌ঠি জেলার রাজাপুর উপ‌জেলার কানুদাসকা‌ঠি গ্রা‌মের মিঞা বা‌ড়ি‌তে তা‌কে দাফন করা হবে।

ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ইউসুফ কালু আর নেই। তিনি সোমবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ইউসুফ কালুর ছেলে ওবায়দুর রহমান সোহাগ তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

ইউসুফ কালুর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন পা‌নি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জা‌হিদ ফারুক শামীম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, ব‌রিশাল জেলা প‌রিষদ চেয়ারম‌্যান মইদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, শহীদ আব্দুর রব সের‌নিয়াবাত ব‌রিশাল প্রেসক্লাব সহ সামা‌জিক, সাংস্কৃ‌তিক ও রাজ‌নৈ‌তিক সংগঠ‌নের নেতৃবৃন্দ।

সর্বস্ত‌রের মানুষ শ্রদ্ধা নি‌বেদনের জন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এস‌সি‌জিএম বিদ‌্যাল‌য় প্রাঙ্গণে ইউসুফ কালুর মরদেহ রাখা হবে। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এরপ‌র জানাজা শেষে তার গ্রা‌মের বা‌ড়ি ঝালকা‌ঠি জেলার রাজাপুর উপ‌জেলার কানুদাসকা‌ঠি গ্রা‌মের মিঞা বা‌ড়ি‌তে তা‌কে দাফন করা হবে।

১৯৩১ সালের ১৭ জানুয়ারী বর্তমান ঝালকাঠী জেলার রাজাপুরের কানুদাসকাঠী মিয়াবাড়িতে ইউসুফ কালুর জন্ম। তার পড়ালেখার প্রথম পাঠ গ্রামের পাঠশালায়। এরপর এসে ভর্তি হন বরিশাল ব্রজমোহন বিদ্যালয়ে।

১৯৪৮ সালে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র থাকাকালীন সময়ে দেখেছেন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন তুঙ্গে থাকার বিষয়টি। । এরপর মেট্রিকুলেশন পাস করে ১৯৫১ সালে আইএ ভর্তি হন বিএম কলেজে কমার্স বিভাগে। তখন থেকে ভাষা সংগ্রামে তার সম্পৃক্ততা আরো বেড়ে যায়।

তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ গোলাম কিবরিয়াকে আহবায়ক করে বিএম কলেজে গঠন হয় ২৫ সদস্যের ভাষা সংগ্রাম পরিষদ। যেখানে তাকেও কমিটির সদস্য করা হয়। তবে কিছুদিন পরে আন্দোলনে দেশ উত্তাল হয়ে উঠলে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট বৃহত্তর বরিশাল ভাষা সংগ্রাম পরিষদে যুক্ত করা হয় তাদের।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তাতে তিনি যোগ দেন। ৯নং সেক্টরের অধীনে কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছেন।

তারও আগে ১৯৬২ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রথমে আজাদ ও পরে দৈনিক পয়গামের বরিশাল সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। বরিশাল প্রেসক্লাবের ( বর্তমানে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব ) সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত।

এ বিভাগের আরো খবর