পুলিশের বাধার কারণে খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। সমাবেশ শুরুর আগেই তা ছত্রভঙ্গ করতে দলটির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির ৯ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে নগরের কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, স্বাধীনতা দিবসে দেশের কয়েকটি স্থানে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ এবং সরকারি দলের তাণ্ডবে ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা সোয়া ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ছিল।
কিন্তু বিনা উসকানিতে পুলিশ হঠাৎ বিএনপি নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এতে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শান্তির শহর খুলনাতে গণতন্ত্রকামী নিরীহ নেতা-কর্মীদের ওপর বিনা উসকানিতে অতর্কিত লাঠিপেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।’
এ কর্মসূচি পালনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা সভাপতি শফিকুল আলম মনাসহ নগর ও জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশের অতর্কিত লাঠিপেটার বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের কোনো অনুমতি না থাকায় মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে তাদের দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে সমাবেশ করার অনুরোধ করা হয়।
‘এ সময় কার্যালয়ের সরু সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে একজন আহত হয়েছেন। তবে লাঠিপেটার কোনো বিষয় আমার জানা নেই, কারণ আমি সেখানেই ছিলাম।’