একসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাঠিখেলার দল ছিল। গ্রামগঞ্জে নিয়মিত হতো লাঠিখেলা। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই। আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্রীড়া সংগঠক ইসরাইল সেন্টু।
সরকারি কলেজ মাঠে রোববার ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। খেলা দেখাতে কুষ্টিয়া থেকে আসে লাঠিয়াল বাহিনী। ঢোল ও ঢাকের তালে বিকেলে শুরু হয় খেলা। দলের ২৯ সদস্যের কসরত মুগ্ধতা ছড়ায় দর্শনার্থীদের মাঝে।
লাঠিয়াল বাহিনীতে ছিল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার কল্পনা ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিনথিয়া। তারা লাঠি খেলছে চার বছর ধরে।
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর অন্যতম সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘এখন আগের মতো আর লাঠিখেলা হয় না। এই খেলার জন্য বাজনা থাকা লাগে, আলাদা পোশাক লাগে। পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে এটা ধরে রাখা কঠিন।’
খেলা দেখতে এসেছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শংকর কুমার কুণ্ডু। তিনি বলেন, ‘আমার এত সুন্দর সময় অনেক দিন কাটেনি। আজকের বিকেলটা সত্যি মুগ্ধ করল আমাকে।’
জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে আবারও সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন। লাঠিখেলা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। আগামীতে এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখব।’