চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে তোলা ইটের দেয়াল তুলে নিয়েছে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা। তিনদিন পরে রোববার রাত পৌনে ১০টার পর যান চলাচল শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে।
এর আগে রাত ৮টার পর থেকে ইট বালি দিয়ে তৈরি দেয়াল অপসারণের কাজ শুরু করে হেফাজতের কর্মীরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী বিক্ষোভে নেমে চারজন নিহতের জেরে শুক্রবার থেকে টানা তিনদিন ধরে সড়কটি অবরোধ করে রেখেছিল হেফাজতকর্মীরা।
প্রশাসনের বারবার অনুরোধেও তারা অবরোধ তোলেনি। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামের সঙ্গে খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শেষে অবরোধ তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মোদির সফরের বিরোধীতায় হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার হেফাজত কর্মী করে মিছিল নিয়ে বের হয়। এ সময় তারা হাটহাজারী থানা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ডাকবাংলোতে হামলা চালায়। পাশাপাশি তারা ভূমি অফিসেও অগ্নিসংযোগ করে।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের ভূমি অফিসে প্রবেশে বাধা দেয় হেফাজতের কর্মীরা। এ সময় হেফাজত ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে চার জন নিহত হন। তাদের মরদেহ পুলিশি পাহারায় নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সকালে হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা।
বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার সামনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মাঝখানে ইটের দেয়াল তৈরি করে রেখেছে তারা। দেয়ালের সঙ্গে কিছু লোহার কলাপসিবল গেটও রাখা হয়েছে।
শনিবার রাতে ডাক বাংলোতে আবার আগুন দেয় হেফাজতকর্মীরা। পাশাপাশি দুটি মোটর সাইকেলও পুড়িয়ে দেয় তারা। শুক্রবারের বিক্ষোভের সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হেফাজত কর্মীরা মাদ্রাসা গেটে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল।