হরতাল শেষেও নারায়ণগঞ্জে সহিংসতা করেছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা। মৌচাক এলাকায় একে একে ৫টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে তারা। এর আগে হরতাল চলাকালে আগুন দেয়া হয়েছিল ৬টি গাড়িতে। সড়কে কাঠ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত রোববার দিনভর থেমে থেমে তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজতের কর্মী ও সমর্থকরা। এতে পুলিশ, পথচারী, বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, সকাল-সন্ধ্যা হরতালের নামে সহিংসতা করেছে হেফাজতে ইসলাম। ভাংচুরের পাশাপাশি ১১টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌচাকের মাদানিনগর মাদ্রাসার সামনে প্রথমে ৫টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। দেড়টার দিকে ফুটওভার ব্রিজের সামনে আগুন দেয়া হয় একটি মাইক্রোবাসে।
সবশেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে মাঠে নামে পুলিশ। তখন মৌচাক এলাকায় চলন্ত ও থেমে থাকা বাস, ট্রাকসহ ৫টি গাড়িতে আগুন দেয় হেফাজতের কর্মীরা।
তারা সকাল থেকে টায়ার, কাঠ জ্বালিয়ে মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিলে বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন হেফাজত কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ওপর ইটপাকেল নিক্ষেপ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে তাদের। কয়েক জন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, সকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করে। তারা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ওপর ইটপাকেল ছোঁড়ে। হামলা চালিয়েছে লাঠিসোঁটা নিয়ে। ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেয়। পুলিশ শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
পুলিশ সুপার জানান, মৌচাক এলাকায় ৫টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এর আগে আরও কয়েকটি গাড়িত আগুন দেয় হেফাজত সমর্থকরা। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেন তিনি।