বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর নেতৃত্বে হরতালবিরোধী মিছিল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ মার্চ, ২০২১ ২০:১১

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ভাঙ্গা থানায় হেফাজতের ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নেতৃত্বে হেফাজতের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী সঙ্গে নিয়ে একটি মিছিল বের করেন সাংসদ নিক্সন। মিছিলটি ভাঙ্গা থানা চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে হাই-ওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা হেফাজতের হরতাল ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিলে অংশ নেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন, সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোবহান মুন্সি, ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আবু জাফর মুন্সি, বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম মাতুব্বর, পৌর কাউন্সিলর ওমর ফারুক হবি, সরকারি কেএম কলেজের সাবেক ভিপি আকরামুজ্জামান মিঠু ও জিএস লাবলূ মুন্সিসহ আরও অনেকে।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ভাঙ্গা থানায় হেফাজতের তাণ্ডব ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

শনিবার ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ওইদিন জোহরের নামাজের পর ভাঙ্গা থানার কাছে জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাঁ মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ভাঙ্গা বাজার ঘুরে বিশ্বরোড এলাকায় যায়। পরে বিশ্বরোড থেকে ফিরে মিছিলটি ভাঙ্গা থানার কাছে ঈদগাঁ মাদ্রাসামাঠে জড়ো হয়। এ সময় মিছিলকারীরা ওই মাঠ থেকে লাঠি ও কাঠের বাটাম সংগ্রহ করে বেলা সোয়া দুইটার দিকে অতর্কিতে ভাঙ্গা থানায় হামলা চালায়।

হামলাকারীরা ভাঙ্গা থানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর তারা থানা লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটের টুকরা ছুড়তে শুরু করে। পরে পুলিশ ব্যারাক থেকে পুলিশ এসে শটগানের গুলি ছুড়ে ৪০ মিনিট পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ হামলা ঠেকাতে গিয়ে দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।

রোববার সকালে সাংসদ নিক্সন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দ্রুত দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর আহমেদ জানান, শনিবার হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। ভাঙ্গা থানার এস আই মো. শহিদুল্লাহ বাদী হয়ে এই মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর