কুড়িগ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর সন্তান প্রসবের ঘটনায় পিতার পরিচয় জানতে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) টেস্টের আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার শহরের খলিলগঞ্জের বিএডিসি গোডাউন সংলগ্ন জয়বাংলা মোড়ে পুত্রসন্তান প্রসব করেন ওই নারী। স্থানীয়রা বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানালে ভোরেই ওই নারী ও শিশুটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ভবঘুরে ওই নারী চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হলেও রাত ৯টার দিকে মারা যায় শিশুটি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, শিশুটির মৃত্যুতে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরে উপপরিদর্শক জাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত ডিএনএ টেস্টের একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসক ছাদেকুর রহমান আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।’
কুড়িগ্রাম দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি একেএম সামিউল হক নান্টু বলেন, ‘প্রায়ই ভবঘুরে ও মানসিক ভারসাম্যহীন নারীদের সঙ্গে এমন অপরাধ হচ্ছে। ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঘটনা। পুলিশ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারলে এ ধরণের অপরাধ কমে যাবে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. নবিউর রহমান জানান, শিশুটি অপরিণত ছিল। রাতেই সে মারা যায়। ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যা পরে পিতৃপরিচয় জানতে কাজে লাগবে।’
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, ‘এটি একটি অমানবিক কাজ। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী প্রেগন্যান্ট হয়েছে। আমরা এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাকে ধরতে ডিএনএ টেস্ট কাজে লাগাবো। এত সুবিচার পাবেন ভবঘুরে নারীটি।’