রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়া মাইক্রোবাসের বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী মো. পাভেলের জ্ঞান এখনও ফেরেনি। তার মাথা ও হাতে আঘাত লাগার পাশাপাশি কিছুটা পুড়েও গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
মো. পাভেলের বয়স ১৭ বছর। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ডারিকাপাড়া গ্রামে। সে স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। দুর্ঘটনায় তার বাবা মোখলেসুর রহমান ও মা পারভীন বেগম মারা গেছেন। আর পাভেল ওই দিন থেকেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখানকার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার চিকিৎসা চলছে।
পাভেলের চাচাতো ভাই রিপন মিয়া জানান, শনিবার পাভেলের সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় কোনো সমস্যা নাই। চোখের ডাক্তারও তাকে দেখেছেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পাভেলের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। আমরা আগামী পরশু দিন বলতে পারব আইসিইউ থেকে তাকে কবে ছাড়া যাবে। তার মাথায় আঘাত আছে। হাতও ভেঙে গেছে। কিছু অংশ পুড়েও আছে। তবে সেটি বেশি না। তার জ্ঞান ফেরেনি। দোয়া করেন আপনারা। পাভেলকে দেখে মনে হচ্ছে সে বেঁচে যাবে।’
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালীতে একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসের ১৮ জন আরোহীর মধ্যে ১৭ জন মারা যায়। এদের মধ্যে ১১ জনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। আর সাতজনকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান ছয়জন।