বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রলার জিম্মি করে চাঁদা দাবি, ৫ জলদস্যু আটক

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২১ ১৬:৫৮

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটার খাজুরা পয়েন্ট এলাকা থেকে লতাচাপলি গ্রামের মো. হারুন গাজীর মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে সাতজন জেলেকে মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়ে ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায় এই জলদস্যুরা।পরের দিন ট্রলারের মালিককে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ট্রলার জিম্মি করে চাঁদা দাবির ঘটনায় পাঁচ জন জলদস্যুকে আটক করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটার লতাচাপলি জোন থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিম এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ট্রলার থেকে দেশি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন-মো. রুহুল আমিন, মো. রাসেল মিয়া, মো. তালেব আলী, মো. জালাল আহমেদ ও মো. আবদুল কাদের। এদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটার খাজুরা পয়েন্ট এলাকা থেকে লতাচাপলি গ্রামের মো. হারুন গাজীর মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে সাতজন জেলেকে মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়ে ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায় এই জলদস্যুরা।

পরের দিন ট্রলারের মালিককে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এ ঘটনায় ট্রলার মালিক হারুন মহিপুর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে লতাচাপলি জোনের প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমানায় সাগরের মধ্যে জলদস্যুদের অবস্থান নিশ্চিত হন পুলিশ। পরে সকালে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ সঙ্গে নিয়ে মহিপুর থানা পুলিশ স্পিডবোট নিয়ে অভিযান শুরু করেন।

ওসি আরও জানান, এক পর্যায়ে জলদস্যুরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে ধাওয়া করে পাঁচ জলদস্যুসহ ট্রলারটি আটক করে তীরে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে দস্যুতা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর