কিশোরগঞ্জ শহরে হরতাল চলাকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে হেফাজতের কর্মীরা। তাদের হামলায় আহত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১০ জন।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। এরপর আটক করা হয়েছে হামলাকারীদের কয়েকজনকে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তিনি জানাননি।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ সাদি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে এসে হামলা করে হেফাজত কর্মীরা। তারা কার্যালয়ের আসবাবপত্র এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ছবি ভাঙচুর করে। ঠেকাতে গেলে পুলিশ ও আমাদের ওপর তারা হামলা করে।’
তিনি জানান, পুলিশ প্রতিরোধ গড়ে তুললে হরতাল সমর্থকরা শহীদি মসজিদের সামনের সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। শহরের জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা ছাদ থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
হরতাল সমর্থকদের ঠেকাতে মাঠে নামে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এসব চলায় শহরে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
শরীফ বলেন, হামলায় আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুলসহ ১০ জন। তাদের কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।