চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ট্রাক ও করিমন (শ্যালোইঞ্জিন চালিত যান) সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা আঞ্চলিক মহাসড়কের লোকনাথপুর তালবাগান এলাকায় রোববার সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত করিমনচালক আশানুর রহমান ও তার ১১ বছরের ছেলে আজম আলীর বাড়ি দামুড়হুদার ডুগডুগি গ্রামে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন করিমনের যাত্রী ডুগডুগি গ্রামের জামাত আলীর ১০ বছরের ছেলে জীবন আলী এবং ট্রাকচালক ইয়াসিন আলী ও ট্রাকে থাকা শ্রমিক মনিরুল ইসলাম। ইয়াসিন ও মনিরুলের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, সকালে করিমনে সিমেন্টবোঝাই করে দর্শনার দিকে যাচ্ছিলেন চালক আশানুর। সঙ্গে ছিল তার ছেলে আজমও। এ সময় দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার দিকে যাওয়া একটি ট্রাকের সঙ্গে করিমনের সংঘর্ষ হয়।
এতে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশ বক্সে গিয়ে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় আজম।
দর্শনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আহত ব্যক্তিদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশানুরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারহানা ওয়াহিদ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান আশানুর। আহত অন্যরা সেখানে ভর্তি আছেন।
ওসি আব্দুল খালেক জানান, দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন ট্রাকের হেলপার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত বাবা-ছেলের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান।