টাঙ্গাইল জেলার সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে হাসপাতালে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে শনিবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তার স্বামী বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন মিজান পলাতক।
মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) দীপংকর ঘোষ জানান, গত সোমবার মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রেদওয়ানা। নবজাতকটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। রেদওয়ানাকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও মেয়ে হাসপাতালে থাকায় গত চার দিন তিনি একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
এএসপি আরও জানান, শনিবার সকালে রেদওয়ানার স্বামী মিজান হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করতে যান। বিকেলে হাসপাতালের নার্স কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। অতিরিক্ত চাবি দিয়ে তালা খোলার পর রেদওয়ানার মরদেহ পান তারা। পরে পুলিশকে জানালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, রেদওয়ানার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রেদওয়ানাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান স্বামী মিজান।