চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হেফাজত কর্মীদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন স্বজনরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার বিজয় বসাক।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘হাটহাজারীতে শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মরদেহগুলো নওগাঁ, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের রাউজানে নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশ পাহারায় মরদেহগুলো পাঠানো হচ্ছে।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারীতে পুলিশ হেফাজত কর্মী সংঘর্ষে চার জন নিহত হন। এরা হলেন রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ মেহেরাজ, আবদুল্লাহ ও জামিল হোসেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার এই সফরের বিরোধিতা করে শুক্রবারই জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গেও মোদির সফরবিরোধীদের সংঘর্ষ হয়।
জাতীয় মসজিদের এই ঘটনার জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতেও পুলিশের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হেফাজত সমর্থকরা।
এ সময় তারা ডাক বাংলো, ভূমি অফিস ও হাটহাজারী মডেল থানায় হামলা চালায়। হেফাজতের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় থানা এলাকা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায়।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিনা উসকানিতে হেফাজত কর্মীরা সরকারি কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে পুলিশ।’
হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী বলেন, ‘হেফাজতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালিয়ে চার জনকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’