বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার হাটহাজারীর ডাকবাংলোয় আগুন হেফাজতের

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ২১:৪০

হাটহাজারী থানার কর্মকর্তা রাজিব শর্মা নিউজবাংলাকে বলেন, ২৫ থেকে ৩০ জন বিক্ষুব্ধ কর্মী ডাকবাংলায় আগুন ধরিয়ে দেন। এতে নিচ তলার স্টোর রুমে থাকা দুটি মোটরবাইক পুড়ে গেছে।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ডাকবাংলোতে আগুন দিয়েছে হেফাজত ইসলামের নেতা-কর্মীরা।

রোববার রাত আটটার দিকে এই আগুন দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মা।

হেফাজতের সদরদপ্তর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সীমানা থেকে ডাকবাংলোটির দূরত্ব আনুমানিক ১০ গজ।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

এই খবর হাটহাজারী পৌঁছার পর হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে থানায় হামলা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি করলে হেফাজতের চার কর্মী নিহত হন।

এরপর মাদ্রাসার আশপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন হেফাজত নেতা-কর্মীরা।

পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব শর্মা নিউজবাংলাকে বলেন, ২৫ থেকে ৩০ জন বিক্ষুব্ধ কর্মী ডাকবাংলায় আগুন ধরিয়ে দেন। এতে নিচ তলার স্টোর রুমে থাকা দুটি মোটরবাইক পুড়ে গেছে।

এর আগে শনিবারই মাদ্রাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছাড়ি মহাসড়কে ইটের দেয়াল তুলে বিক্ষোভ করেন হেফাজতকর্মী। তাদের অবস্থানের কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার সামনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মাঝখানে ইটের দেয়াল তৈরি করে রেখেছেন তারা। দেয়ালের সঙ্গে কিছু কলাপসিবল গেটও রাখা হয়েছে।

আগের দিনও হাটহাজারীতে ব্যাপক সহিংসতা করে হেফাজত কর্মীরা।

জুমার নামাজের পর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে হেফাজত কর্মীরা মিছিল নিয়ে গিয়ে ডাকবাংলো ও স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে হামলা করে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রবীর ফারাবি সরকারি ডাকবাংলোয় থাকতেন। তাকে সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে পেটানো হয়। সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সরকারি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এরপর হেফাজত কর্মীরা তেড়ে যায় থানায়। সেখানে পুলিশের ওপর করে হামলা। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার পর গুলি করতে বাধ্য হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গুলিবিদ্ধ আটজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এর পর শনিবার সকালে মাদ্রাসা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। সকালে মাদ্রাসার এক কিলোমিটারের মধ্যে ব্যারিকেড বসায় তারা। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। সেখানে ইট দিয়ে দেয়ালও নির্মাণ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর