বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক কারাগারে

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ২০:০৩

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিষয়টি আমলে নেননি।

ঢাকার সাভারে শিশুধর্ষণচেষ্টা মামলায় এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

ওই শিক্ষকের নাম জালালুদ্দিন। বাড়ি বরিশালে। দুই-তিন মাস আগে তিনি এই মাদ্রাসায় চাকরি নেন।

অভিযোগ রয়েছে, শুক্রবার রাতে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা জানাজানি হলে প্রথমে টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। পরে মাদ্রাসা তালাবদ্ধ করে তিনি গা-ঢাকা দেন।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির নিউজবাংলাকে বলেন, চার বছর বয়সী ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা। রাতেই ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।

‘শনিবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’

শিশুটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স চার বছর এক মাস। ১৫ দিন আগে ওকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেছি। আমি যে বাসার দোতলায় থাকি মাদ্রাসাটি তারই তিনতলায়। জালালুদ্দিনের এক ভাতিজা তার সঙ্গে থাকেন। আমার মেয়ে ওই ছেলের সঙ্গে খেলাধুলা করত। শুক্রবার রাতেও খেলতে যায়। রাত ৯টার দিকে ফিরে ও ওর মাকে শরীরে ব্যথার কথা বলে। ওই শিক্ষক ওকে মেরেছে এমন অভিযোগও করে।

‘ঘটনা শুনেই ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানাই। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ শোনা গেছে। প্রিন্সিপাল আমলে নেয় নাই।’

শিশুটির পরিবার যে বাড়িতে বাস করে, সেই বাড়ির ম্যানেজার মো. সুজন নিউজবাংলাকে বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মুন্সির টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সুবিধা করতে না পারায় মাদ্রাসায় তালা দিয়ে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

শনিবার দুপুরে মাদ্রাসায় গিয়ে বাইরে থেকে গেট বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর