দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালানোর পর এবার অস্ত্র ছাড়া মাঠে নেমে হেফাজতকে মোকাবিলা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার সমর্থকদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতা।শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় উন্মত্ত হামলার পরদিন শনিবার নারায়ণগঞ্জে এক সমাবেশে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল। দুপুরে শহরের ডিআইটি রোডে এই সমাবেশ হয়।হেফাজতের সঙ্গে খালি হাতে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ দিয়ে সংগঠনের নায়েবে আমির বলেন, ‘পুলিশের হাতে অস্ত্র, ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র, আমাদের কোনো অস্ত্র নাই, অস্ত্র রেখে আসেন, দেখি কতো শক্তি আছে।’রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজত নেতা-কর্মীদের ওপর ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এই সমাবেশের ডাক দেয় সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখা। আব্দুল আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে পুলিশের সহযোগিতায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। অথচ কাউকে আটক করা হয়নি।বায়তুল মোকাররমের এই ঘটনার পর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে সরকারি ডাকবাংলা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও পরে থানায় হামলা চালায় হেফাজত কর্মীরা। তাদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় চার জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব ছিল আরও বেশি। সেখানে রেল স্টেশনে আগুন দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর ও আনসার ক্যাম্পে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় হেফাজত কর্মীরা। পরে হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেখানেও পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হয়।এরপর শনিবার বিক্ষোভ ও রোববার দেশজুড়ে হরতালের ডাক দেয় হেফাজত।হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা আউয়াল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কমসূচি পালন করতে চাই। তবে হরতালে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে নারায়ণগঞ্জ অচল করে দেয়া হবে।‘আগামীকাল হেফাজতে ইসলামের হরতালে সবাই দোকানপাট বন্ধ রাখো, গাড়ি চাকা বন্ধ রাখো।’ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজতের সভাপতি ফেরদাউসুর রহমান, সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক দিন ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ।