বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে তুরস্ক।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে শনিবার সোয়া দুইটার দিকে তুরস্কের ত্রাণবাহী কার্গো বিমান অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক ফরহাদ হোসেন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০ টন ত্রাণ নিয়ে তুরস্ক বিমানবাহিনীর বিমানটি অবতরণ করেছে। ত্রাণগুলো চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবে। রোববার বিমানটির বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা আছে।’
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের চারটি ক্যাম্পে আগুন লাগে। প্রায় সাত ঘণ্টার আগুনে মৃত্যু হয় ১১ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৯ হাজার ৩০০ ঘরবাড়ি, ১৩৬টি লার্নিং সেন্টার, দুটি বড় হাসপাতাল ও মূল্যবান জিনিসপত্র। এ ছাড়াও মসজিদ, দোকানপাট ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ভবন পুড়ে যায়।
বুধবার পুড়ে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় আট লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও দুই লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ। এর মধ্যে উখিয়ার ২৩টি আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা আছে প্রায় ৯ লাখ।
গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসে। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন এবং ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। ৪ মার্চ পঞ্চম ধাপের প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ২৫৭ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেয়া হয়।