বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজত-তাণ্ডবে রেলে বিচ্ছিন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ১৫:৩৪

রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) কার্যালয় জানায়, আগুনে সিগন্যাল প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। যারা এই স্টেশন থেকে যাত্রার জন্য টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। কাল থেকে চট্টলাসহ অন্য সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত থাকবে।

কওমি মাদ্রসাছাত্রদের তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলস্টেশনের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলা শহর।

আন্তনগর যেসব ট্রেন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করত, সেগুলো আর সেখানে থামছে না। কবে সেগুলো আবার থামবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা চলাচল করা কমিউটার তিতাসও বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের স্টেশনমাস্টার সোয়েব আহমেদ।

রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) কার্যালয় জানায়, আগুনে সিগন্যাল প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। যারা এই স্টেশন থেকে যাত্রার জন্য টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। কাল থেকে চট্টলাসহ অন্য সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত থাকবে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতের কর্মীরা।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সরকারি ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের পর থানায় হামলায় চালান হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। এতে প্রাণ হারান চারজন।

এর পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি তারা হামলে পড়ে শহরের রেলস্টেশনে।

ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেয়া হয় স্টেশনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এমনকি লাইনে।

মারমুখো কর্মীদের রেলের কর্মীরা কোনো বাধা দিতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিসও সেখানে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। প্রস্তুতি না থাকায় পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে যতক্ষণ হেফাজত কর্মীরা সেখানে ছিল, ততক্ষণ জ্বলেছে আগুন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল স্টেশন পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা

তাদের এই হামলার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় ট্রেন। ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সাতটি ট্রেন আটকা পড়ে বিভিন্ন স্টেশনে।

আট ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ চালু হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোনো ট্রেন আর থামেনি। ফলে যাদের এই স্টেশনে নামার কথা ছিল, তাদের পরের স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে আসতে হয়।

সকাল থেকে স্টেশনে ট্রেনগুলো আগের মতো যাত্রাবিরতি দিতে শুরু করলেও সিগন্যালের সমস্যায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টেশনমাস্টার সোয়েব আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। তারপর সকাল ১০টায় সিলেট মেইল, ১১টায় ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস, ১১টা ১০ মিনিটে সর্বশেষ মহানগর প্রভাতী চট্টগ্রামের উদ্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আন্তনগর কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে না।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনজুড়ে হেফাজত কর্মীদের সহিংসতা

রেলের কর্মীরা জানান, আশুগঞ্জের পর পালশহর ও আখাউড়ার আগে পাকাতন স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু আছে। এই দুই স্টেশনের সিগন্যালের ওপর নির্ভর করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েকটি ট্রেন দাঁড় করানো হয়। কিন্তু দুই স্টেশনের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্বের কারণে সবগুলো ট্রেন এভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাঁড় করানো কঠিন।

এক দিন পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে হেফাজতের হামলার ক্ষতির চিহ্ন রয়ে গেছে। সাতটি কক্ষে রয়েছে পোড়া চিহ্ন।

এ বিভাগের আরো খবর