বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘স্বামী-শাশুড়ির আগুনে’ দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ১১:০৭

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শারমিনের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছিল।

শ্বশুরবাড়িতে দগ্ধ হওয়ার চার দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে গাইবান্ধা সদরের গৃহবধূ শারমিন বেগমের।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

শারমিনের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে যায়। শনিবার সকালে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন মামা শাহিন মিয়া।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তার ‘ডেথ বেড স্টেটমেন্ট’ নিয়েছেন। সেখানে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার কথা বলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় গাইবান্ধা সদরের মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলের বাজার এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে শারমিনকে উদ্ধার করে বাবার বাড়ির লোকজন। সেখান থেকে প্রথমে তাকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শারমিনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আনা হয় ঢাকা মেডিক্যালে।

স্বজনদের অভিযোগ

গৃহবধূকে উদ্ধারের দিন তার বাবা অভিযোগ করেছিলেন, স্বামী ও শাশুড়ি মিলে শারমিনকে পিটিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে।

স্বজনরা জানান, দুই বছর আগে শারমিনের বিয়ে হয় কোরবান আলীর সঙ্গে। তাদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে মেয়েটিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।

স্বজনদের অভিযোগ, গত বুধবার দুপুরে যৌতুকের জন্য কোরবান ও তার মা কুলসুম বেগম শারমিনকে মারধর করে। একপর্যায়ে কোরবান গ্যাস লাইটার দিয়ে তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর তাকে ওভাবেই ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন।

স্বামী-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। ওই গৃহবধূর বাবা শফিউল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার রাতে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ তিনজনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, মামলার পরপরই স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলসুম বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর