স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া উদযাপনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফানুস উড়িয়ে গিনেস বুকে নাম লেখাতে চাচ্ছে বরগুনা।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই ফানুসটি তৈরি করছে বরগুনা সাইন্স সোসাইটি। ফানুস বানানোও প্রায় শেষ হয়ে আসছে।
এ ঘটনা জানাতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বরগুনা বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন করে জেলা প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিতে তৈরি ৫০ ফুট উচ্চ এবং ৩৪ ফুট ৮ ইঞ্চি প্রশস্ত ফানুসটির নাম রাখা হয়েছে ‘বিবি-২০২১’।
জেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় ফানুস তৈরি ও আকাশে ওড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে জেলার সায়েন্স সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের কয়েকজন কিশোর ও তরুণ।
সাইন্স সোসাইটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জুলফিকার আমিন বাবু বলেন, ‘২৫ মার্চ থেকে বরগুনা সাইন্স সোসাইটির ১১ জন সদস্য এই ফানুস তৈরির কাজ শুরু করেছেন। আগামী ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে এ ফানুসটি ওড়ানো হবে।’
সাইন্স সোসাইটির সভাপতি আকিল আহম্মেদ বলেন, ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফানুস ওড়ানোর রেকর্ড রয়েছে কলম্বিয়ার। ৩৮ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার এবং ৩২ ফুট ৯ ইঞ্চি প্রশস্তের ফানুসটি ওড়ানো হয় কলাম্বিয়া কাউকা বলিভার এলাকায়। ২০০৯ সালে ১১ জানুয়ারি জেসুস আলবার্টো নামের এক ব্যক্তি ওই ফানুসটি উড়িয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪০ ফুট উচ্চতার ফানুস বানিয়েও আমরা ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে পারতাম। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরকে পৃথিবীর বুকে স্মরণীয় করে রাখতে ৫০ ফুট উচ্চতার ফানুস ওড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ব রেকর্ড গড়া একটি আনন্দের বিষয়। মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার উদযাপনকে স্মরণীয় করতেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, আমাদের উদ্দেশ্য হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ফানুসটি ওড়ানো হবে।’