রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা কৃষাণ-কৃষাণি, জেলে, বাউল। তাদের সঙ্গে লাঠিয়ালরাও যাচ্ছেন লাঠিখেলা দেখাতে দেখাতে। আছে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো সেজে আসা শিশুরাও ।
ঢোল ও সানাই নিয়ে এগিয়ে চলা এমন দৃশ্য দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলায় এক শোভাযাত্রায়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ এই শোভাযাত্রা আয়োজন করে।
বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। শিশুরা নিজেদের সাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিসেবে।
বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ভোলা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। তার একটি হচ্ছে বাঙালির স্বাধীনতা আর অন্যটি হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতা তিনি দিয়ে গেছেন। আর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছি।
এর আগে সকালে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বল্প পরিসরে উপদযাপন করা হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস।
জেলার গজনবী স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী। এরপর সীমিত পরিসরে কুচকাওয়াজ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার।