বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭ দিনেও শুরু হয়নি ধসে পড়া সেতু মেরামত

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ মার্চ, ২০২১ ১৬:৫৬

কিন্তু গত ২০ মার্চ সকালে বালুবাহী একটি ট্রাক বেইলি সেতুতে ওঠে। এরপর সেতুটি ধসে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই এলাকার মানুষ।

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা সদর ও জুঙ্গুরদী বাসস্ট্যান্ডের মাঝে কুমার নদের ওপর বেইলি সেতুটি ধসে পড়ে এক সপ্তাহেও মেরামত শুরুই হয়নি।

গত ২০ মার্চ সকালে বালুবাহী একটি ট্রাক সেতুর ওপর ওঠে। এর পর ট্রাকসহ এটি ধসে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই এলাকার মানুষ।

কেউ নৌকায় নদী পার হচ্ছেন। ছোট যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসা-যাওয়া করছে। কেউবা ভাঙা সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুর ধসে যাওয়া অংশে বাঁশ দিয়ে তৈরি পাটাতন ও বালুর বস্তা বসানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনিস নিউজবাংলাকে জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

২০ মার্চ সকালে বালুবাহী একটি ট্রাক ব্রিজে ওঠার পর ট্রাকসহ এটি ধ্বসে পড়ে।

এ অবস্থার ৭ দিনেও গেলেও এখনও সেতুটিও সংস্কারের কোনো কার্যক্রম শুরু হতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমাস নিউজবাংলাকে বলেন, ৮০-র দশকে কুমার নদের ওপর বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এমনিতেই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। এরপর অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক উঠায় সেতুটি ধসে পড়ে।

তিনি আরও জানান, একাধিকবার এই সেতুর বদলে সিমেন্টের ঢালাই সেতু নির্মাণের জন্য মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেও কোনো লাভ হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত যেন সেতুটি সংস্কার করা হয় অথবা সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য ভাসমান সেতু করে দেয়া হয়।

ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার রুমী বলেন, ‘ধসে পড়ার পর সেখানে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই নির্দেশনা পেয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনসাধারণের চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর