বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছেলের মৃত্যুতে চোখের পানি শুকালেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ২৩:১২

২০১৭ সালের ২৫ মার্চ রাত ৮টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হওয়ার পর রাত ১টা ৪০ মিনিটের সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেল।

সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গিদের বোমা বিষ্ফোরণে পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেল নিহত হওয়ার ঘটনার চার বছর পূর্ণ হয়েছে। ছেলের মৃত্যুতে মা ফিরোজা খাতুনের চোখের পানি শুকালেও এখনও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত।

ছেলের প্রাণ এভাবে ঝরে যেতে পারে, তা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা। তাই মৃত্যুর আগে ছেলের প্রকৃত খুনিদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তির দাবি জানান ফিরোজা খাতুন।

২০১৭ সালের ২৫ মার্চ রাত ৮টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হওয়ার পর রাত ১টা ৪০ মিনিটের সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেল।

২৬ মার্চ নিহত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। এই উপলক্ষে নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এওজবালিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম সোহেল পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের ডা. নুরুল ইসলামের ছেলে। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সোহেল ছিলেন চতুর্থ। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন মনিরুল ইসলাম সোহেল। তার মৃত্যুতে পরিবারের আয়ের চাকা বন্ধ হয়ে যায়।

সোহেল এবং তাঁর স্ত্রী পারভীন আক্তারের রয়েছে মোজ্জাকেরুল ইসলাম পারাভী নামের ছয় বছরের একটি পুত্র সন্তান। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী পারভীন আক্তারকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি দেওয়া হয়। আদর-ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রাখলেও বাবার শূন্যতা আজও তাড়া করে বেড়ায় শিশু পারাভীকে।

নিহত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সোহেলের মা ফিরোজা খাতুন বলেন, ছেলের মৃত্যুর পর কী অসহায় অবস্থায় আছি সেটা বুঝাতে পারবো না। আমার সন্তানের প্রকৃত খুনিদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। যাতে এভাবে আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়।

তিনি আরো বলেন, ছেলের মৃত্যুর পরে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমার পুত্রবধূ ও আমার ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম শামীমের জন্য চাকরি চেয়েছিলাম। সরকার পুত্রবধূকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিলেও ছেলে শামীমের কোন চাকরির ব্যবস্থা হয়নি।

মনিরুল ইসলাম সোহেলের স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, তিনি জেলা শহর মাইজদীতে একটি ফ্ল্যাটে রয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শাখায় তাকে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর