বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোড়া খুনের রায়: ২ জনের ফাঁসি, ১৩ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ২২:৩৬

২০০০ সালের ১৯ মার্চ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক সালিশে যাওয়ার সময় পথে প্রতিপক্ষের লোকজনের গুলিতে আরপান আলী ও মতিউর রহমান গুরুতর আহত হন। তাদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর তারা মারা যান। ঘটনার পরদিন নিহতের স্বজন আতাউর রহমান তাহিরপুর থানায় ২৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০১ সালের ৩১ মার্চ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে গুলি করে দুই ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু এই রায় দেন।

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী শামসুর নাহার বেগম শাহানা রব্বানী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, তাহিরপুরের আরপান আলী ও মতিউর রহমান নামে দুই জনকে হত্যার মামলায় আদালত আবদুল হান্নান ওরফে যাত্রা মিয়া ও শামছুদ্দিন ওরফে শামছু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এ ছাড়া একই মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, আবদুল মান্নান, ইনু মিয়া, রেনু মিয়া, হামদু মিয়া, আফজল মিয়া, জালাল উদ্দিন, আবদুল নূর, সবুজ মিয়া, বাবুল মিয়া, আলকাছ মিয়া, বাদল মিয়া, রহমত আলী ও মনু মিয়া।

মামলার এজাহারে বলা হয়, তাহিরপুর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০০০ সালে ১৮ মার্চ এক পক্ষের লোকজনের হাতে অন্য পক্ষের একজন মারধরের শিকার হন।

পরদিন সকালে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। ওই সালিশে যাওয়ার সময় পথে প্রতিপক্ষের লোকজনের গুলিতে আরপান আলী ও মতিউর রহমান গুরুতর আহত হন। তাদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর তারা মারা যান।

ঘটনার পরদিন নিহতের স্বজন আতাউর রহমান তাহিরপুর থানায় ২৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০১ সালের ৩১ মার্চ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য নেয়া শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর