মুন্সিগঞ্জে সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচারের দাবিতে একজনের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নিহত ইমনের মরদেহ নিয়ে মিছিল বের করেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী। প্রথমে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেও মিছিলটি উত্তর ইসলামপুর থেকে শহরের প্রধান সড়ক ও প্রেসক্লাব হয়ে আবারও ইসলামপুরে ফিরে যায়।
এর আগে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হন। আহত হন অন্তত পাঁচজন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন সৌরভ নামের এক তরুণ। এ নিয়ে এলাকার মুরব্বিরা সালিশ বৈঠক বসান বুধবার রাতে। বৈঠকে ওই স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আওলাদ হোসেন মিন্টু নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি ও তার লোকজন। সৌরভের সঙ্গে ছিলেন বাবা জামাল হোসেন ও তার লোকজন।
সালিশ চলাকালে মিন্টু ও জামালের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সে সময় আহত হন বেশ কয়েকজন।
তাদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে ২২ বছরের ইমন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফেরদৌস নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে ইমন নামে এক তরুণ মৃত ছিলেন। এ ছাড়া মিন্টুসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের সরাসরি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, ঢাকা মেডিক্যালে নেয়ার পথে সাকিব হোসেন নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মারা যান আওলাদ হোসেন মিন্টু।
ইমন ও সাকিব মিন্টুর অনুসারী ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।