লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুছ মো. শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না সে বিষয়ে জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষ্য গ্রহণে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর।
এ সময় পাটগ্রামের বর্তমান ইউএনও রামকৃষ্ণ বর্মণ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবেল রানা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নেওয়াজ নিশাত, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মাসুদুর রহমান মাসুম, পুলিশের উপপরিদর্শক শামসুল ইসলামসহ ১২ জন জেলা প্রশাসকের সামনে সাক্ষ্য দেন।
এর আগে বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর।
এ বিষয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় এ তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্ত হওয়ায় আমরা চেষ্টা করছি পুনরায় ঘটনাটির বিষয়ে আরও তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করার।’
গত বছরের ২৯ অক্টোবর কোরআন অবমাননার মিথ্যা গুজবে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এই অপরাধে পৃথক ৩টি মামলায় ১১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫২ জন। এ দিনের ঘটনার সময় পাটগ্রামের তৎকালীন ইউএনও কামরুন নাহার বুড়িমারীতে ছিলেন। তার সামনেই এই হত্যাকাণ্ড ও পুড়িয়ে ফেলার মতো নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।
শহীদুন্নবী জুয়েলের বাড়ি রংপুরের শালবন এলাকায়। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান ছিলেন।