সিরাজগঞ্জের চৌহালিতে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল জলিল হত্যায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের সদস্য লতিফ বিশ্বাস দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী।
এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে জলিলকে নিজের কর্মী বলেও দাবি করেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুর রশিদ।
আজগর আলী ও বজলুর রশিদ সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মোমিন মন্ডলের অনুসারী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বুধবার এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভোট হয়। ভোট গণনার শেষ দিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। কারণ ভোটে লতিফের সমর্থিত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান মনির হারতে বসেন।
একপর্যায়ে তারা সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিলকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজগর আলী দাবি করেন, গত ১৬ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস তাকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে লিখিত আকারে অভিযোগও দেয়া হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ভোট গণনার সময় সংসদ সদস্য মমিন মন্ডল ও অন্য নেতাদের সঙ্গে আমিও ভেতরে ছিলাম। আমাকে হত্যা করতেই সম্মেলনস্থানের বাইরে ছালাম ফকির ও বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়া হয়।
‘ভোট গণনা শেষে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কে বা কারা জলিলকে কুপিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানি না। এ ঘটনায় আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্য জড়িত নই। নিহত জলিল আওয়ামী লীগ কর্মী কি না সে বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জলিল তার আত্মীয়। তিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। তবে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে তার নাম নেই।
বুধবার চৌহালিতে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন জলিল, আহত হন অন্তত তিনজন।