সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের যুবক ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল করিম শাল্লা থানায় এ মামলা করেন।
বর্তমানে ঝুমন কারাগারে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শাল্লার পাশের দিরাইয়ে ১৫ মার্চ সমাবেশ করে হেফাজত। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হেফাজত নেতা মামুনুল হক ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন। পরদিন মামুনুলের বিরুদ্ধে দেয়া নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমনের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তেজনা আঁচ করতে পেরে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা ফেসবুকে পোস্ট দেয়া যুবককে ঝুমনকে মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের হাতে তুলে দেন।
তা সত্ত্বেও ১৭ মার্চ সকালে এলাকায় বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় হেফাজত। কয়েক হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর করে নোয়াগাঁওয়ের ৮৭টি হিন্দুবাড়ি।
এ ঘটনায় ১৮ মার্চ রাতে করা হয় দুটি মামলা। হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের তাড়ল ইউনিয়নের সদস্য স্বাধীন মিয়াকে। এ মামলায় ৮০ জনের নাম ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরেকটি মামলা করা হয় শাল্লা থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে। তাতে আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় দেড় হাজার ব্যক্তিকে। মামলা দুটিতে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।