লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে দালাল বাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান সোহেলের নাম রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব নুরুজ্জামান মাস্টার।
এর আগে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিত থেকে বিএনপি নেতা সোহেল নির্বাচনের জন্য তিন লাখ টাকা ব্যয় করবেন বলেও ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার ওই কমিটির আহ্বায়ক নুরনবী চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান সোহেল, হুমায়ুন হাওলাদার, মো. বাকের এবং সদস্যসচিব করা হয় নুরুজ্জামান মাস্টারকে।
এর মধ্যে সোহেল সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সোহেল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুর ভাগিনা।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে দাওয়াত দিয়েছে। এ জন্যই ওই বৈঠকে যাওয়া। অন্য দল বললেও দায়িত্ব থেকে আমি যেতাম। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কমিটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে মুখে মুখে রেখেছে।’
টাকা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাকা দেয়ার বিষয়টি আমি বলিনি। সভায় আওয়ামী লীগের নেতারা সবাইকে নির্বাচনি খরচের জন্য টাকা দিতে বলেছে। সে সূত্রে তারাই আমাকে বলেছে তিন লাখ টাকা দিতে। আমি এত টাকা পাব কোথায়।’
কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আগামী ১১ এপ্রিল উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন একটি পৌরসভা রায়পুর ও সদর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ভোট। উপনির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমেই প্রচার শুরু হবে। এর মধ্যেই বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
৪ লাখ ২ হাজার ৯৬৩ জন ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফায়িজ উল্যাহ শিপন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু হবে। ইতিমধ্যে প্রচারের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন প্রার্থীরা।
২৪ মার্চ প্রত্যাহারের শেষ দিনে আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার সাঁটিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। প্রার্থী নিজেই ফেসবুকে প্রতীক-সংবলিত পোস্টার পোস্ট করে নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করছেন বলে অভিযোগ তুলছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।