বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুড়িমারী নৃশংসতা: ইউএনওর অবহেলা তদন্তে গণশুনানি

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ০২:২৭

রংপুরের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বুড়িমারীতে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্ত হওয়ায় তারা ঘটনাটির বিষয়ে আরও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গুজব ছড়িয়ে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় পাটগ্রামের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্ব অবহেলা তদন্তে বৃহস্পতিবার গণশুনানি হবে।

বুধবার দুপুরে এ নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে গণশুনানি হবে। অধিকতর তথ্য সংগ্রহের জন্য এ শুনানির আয়োজন করা হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিকেলে বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। পাটগ্রামের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহারের উপস্থিতিতে জুয়েলকে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের তদন্ত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে এলাকাবাসীকে শুনানিতে উপস্থিত থেকে তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু জাফর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় এ তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্ত হওয়ায় আমরা চেষ্টা করছি, পুনরায় ঘটনাটির বিষয়ে আরও তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করার।’

গত বছরের ওই দিনে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫০ বছর বয়সী শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

শহীদুন্নবী জুয়েলের বাড়ি রংপুরের শালবন এলাকায়। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান ছিলেন।

ঘটনার সময় শহীদুন্নবী জুয়েলের সঙ্গী ৫১ বছর বয়সী সুলতান জোবায়ের আব্বাসও আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাংচুরের ঘটনায় তখন তিনটি মামলা হয়।

এসব মামলায় ১১৪ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন ৪৭ জন। তাদের মধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ৬ জন।

এ বিভাগের আরো খবর