গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামে হঠাৎ বিস্ফোরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। কেন এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারছে না স্থানীয় পুলিশ। এখন ঢাকা থেকে যাচ্ছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামে কাসেম মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিনের বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
এলাকাবাসী বলছেন, তিন থেকে চারজন অপরিচিত ব্যক্তি বোরহানের বাড়িতে ঢোকেন। এ সময় বাড়ির মধ্যে শোরগোল ও গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। পরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন বাড়ির মালিক বোরহান উদ্দিন ও একই গ্রামের অহেদুল মিয়া।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘরের টিন উড়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বোরহানের হাত। ক্ষতচিহ্ন রয়েছে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে।
জঙ্গি হামলা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন কিছুই বলতে পারব না। গ্রামবাসীও কিছু বলতে পারছেন না। বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে।
নিহত একজনের মরদেহ ঘিরে রাখে এলাকাবাসী
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মশিউর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে নিহত বোরহানের স্ত্রী, ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, মাসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে।আরও পড়ুন: হঠাৎ বিস্ফোরণ, নিহত ৩
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রায়হানুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন বোরহান ও অহেদুল। তাদের লাশ হাসপাতালে রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখানে পুলিশের এসপি তৌহিদুল ইসলাম, সিআইডির বিশেষ টিম, পিবিআই এবং বোমা বিশেষজ্ঞ দল যাচ্ছে।’