বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিস্তা চুক্তির দাবিতে ‘স্তব্ধ’ ২৩০ কিলোমিটার

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫৮

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’ এর সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। আমরা চাই তার এই ঐতিহাসিক সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হোক।'

তিস্তা চুক্তিসহ ৬ দফা দাবিতে দশ মিনিট ‘স্তব্ধ কর্মসূচি’ পালন করেছে তিস্তার দুই তীরের হাজার হাজার মানুষ।

তিস্তার বাংলাদেশ অংশের প্রবেশ মুখ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই জিরো পয়েন্ট থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ঘাট পর্যন্ত ২৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বুধবার সকাল ১১ টা থেকে ১১ টা দশ মিনিট পর্যন্ত তিস্তার তীরের মানুষজন যে যেখানে ছিল সেখানে দাঁড়িয়ে অবস্থান নেয়।

এই কর্মসূচির আয়োজন করে ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন।

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তারাবাজারের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর প্রান্তের কর্মসূচিতে ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তুহিন ওয়াদুদ।

লালমনিরহাটের কালিরহাটের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান।

এ ছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম, আমিন উদ্দিন, মোজাফফর হোসেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, মাহমুদ আলম, মাহাবুব আলম, আমিনুর রহমান, আবদুন নুর দুলাল, বখতিয়ার হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

‘স্তব্ধ কর্মসূচিতে’ তুলে ধরা দাবিগুলো হচ্ছে- তিস্তা নদী সুরক্ষায় ‘মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন ও তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ।

তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ।

ভাঙনের শিকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন।

তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত খনন ও মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও তিস্তা তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা।

তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সঙ্গে নদীর আগেকার সংযোগ স্থাপন এবং দখল-দুষণমুক্ত করা এবং নদীতে নৌ চলাচল পুনরায় চালু করা।

মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’ এর সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। আমরা চাই তার এই ঐতিহাসিক সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হোক। এই মাহেন্দ্রক্ষণে উদ্বোধন করতে হবে তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক মহাপরিকল্পনার কাজ।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তা খনন করে কোটি মানুষের দুঃখ ঘোচানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা তীরবর্তী পাঁচটি জেলা আর্থিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হবে। তিস্তা তীরের মানুষের দুঃখের দিন শেষ হবে। বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রা। কিন্তু একটি চক্র এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেয়ার পাঁয়তারা করছে।’

নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ‘ভারত আমাদের সেই ৭২ সাল থেকে আশা দিয়ে আসছে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবায়নের কোনো ইঙ্গিত নেই। আমরা এর বাস্তবায়ন চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর