বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্যের হয়ে কারাভোগকারী মিনুর নথি হাইকোর্টে

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২১ ১৮:০০

হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেএম ফারুক হোসেন জানান, বুধবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম থেকে এ মামলার ১৪ পৃষ্ঠার উপনথি তাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। এখন তারা এগুলো রেকর্ডভুক্ত করে আপিল শাখায় পাঠিয়ে দেবে। এরপর নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে যাবে।

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুমের পরিবর্তে মিনুর সাজা খাটার ঘটনায় মামলার নথি এসেছে হাইকোর্টে।

বুধবার দুপুরে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে মামলার উপনথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।

হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেএম ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, ‘বুধবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম থেকে এ মামলার ১৪ পৃষ্ঠার উপনথি আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। এখন আমরা এগুলো রেকর্ডভুক্ত করে আপিল শাখায় পাঠিয়ে দেব। এরপর নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে যাবে।’

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামির বদলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ২ বছর ৯ মাস ধরে রয়েছেন মিনু। এ ঘটনা জানাজানি হলে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ।

কারা কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মিনুকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে নতুন করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সেই সঙ্গে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞা। পরে নথি এক দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে আসে।

কারাগারে বালাম বই খুঁজতে গিয়ে বিষয়টি উঠে আসে। এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রামের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

নিউজবাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে হাজির হয়ে তিন সন্তানের জননী মিনু মঙ্গলবার জবানবন্দিতে জানান, সময়টি ছিল ২০১৮ সালের রমজান মাস। ইফতারি দেয়ার কথা বলে কুলসুম ও মর্জিনা নামের দুইজন আদালতে মিনুকে নিয়ে যান। মিনুকে বলা হয়েছিল ‘কুলসুম’ নাম ডাকা হলে তিনি (মিনু) যেন হাত তোলেন। সে অনুযায়ী হাত তোলার পর কর্তৃপক্ষ তাকে ‘কুলসুম’ হিসেবে চিহ্নিত করে কারাগারে পাঠায়।

মিনুকে এভাবে কৌশলে অপরাধী সাজানো কুলসুম একটি হত্যা মামলার আসামি। তার পুরো নাম কুলসুম আক্তার কুলসুমি।

২০০৬ সালের জুলাইয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জ এলাকায় একটি আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পারভীন নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারভীনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারের জন্য গাছে ঝুলিয়ে রাখেন কুলসুম। ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কুলসুমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এক বছর তিন মাস পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

২০১৭ সালে মামলার রায় ঘোষণা করেন তখনকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম। তাতে কুলসুমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে সময় কুলসুম পলাতক ছিলেন।

পরে আইনজীবী নাছির উদ্দীনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের জুনে কুলসুম আত্মসমর্পণ করতে চান। আত্মসমর্পণের দিনই মিনুকে কুলসুম হিসেবে সাজিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তখন থেকেই কারাগারে আছেন মিনু।

এ বিভাগের আরো খবর