নাটোর শহরে ব্যাটারির দোকান থেকে ৯ লাখ টাকার ব্যাটারি লুটের ঘটনায় খুলনা, পটুয়াখালী ও রাজশাহী থেকে আন্তজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ১১ মার্চ রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় অবস্থিত ‘মেসার্স কুদ্দুস অটোজ’-এর দুই নৈশ প্রহরীকে বেঁধে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ইজিবাইকের ১১১টি ব্যাটারি লুট করা হয়।
এ ব্যাপারে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক সদর থানায় মামলা করলে অভিযান শুরু করে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের চারটি টিমের নিরবচ্ছিন্ন অভিযানে নাটোরের কাছিকাটা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে নাটোর ও নীলফামারী থেকে লুট করা ১১৬টি ব্যাটারিসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
এ সময় পটুয়াখালী সদরের গেরাখালী এলাকার আমির হোসেন এবং বরগুনা জেলার আমতলী থানার হলদিয়া গ্রামের মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সহযোগিতায় রাজশাহীর বাঘা থানা এলাকা থেকে পটুয়াখালী সদরের বহলগাছিয়া গ্রামের আবুল কালাম, নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা এলাকা থেকে বরগুনা জেলার আমতলী থানার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মনির হোসেন গাজী, খুলনার খালিশপুর থানা এলাকা থেকে নড়াইল সদরের আগদিবিছালী গ্রামের আবু হোসেন এবং সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে গোপালগঞ্জ সদরের চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা সবাই ডাকাত দলের সদস্য।
অভিযানে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় শরিফুলের দোকানঘর ও গোডাউন থেকে ৬৫টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ১৮১টি ব্যাটারির বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এটা নাটোর জেলা পুলিশের বড় একটি সাফল্য। এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাটারির দোকানে ডাকাতি করেছে।
গ্রেপ্তার ছয়জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, সার্কেল এএসপি খায়রুল আলম ও মোহসিন, নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।