মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে মাগুরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শিরোনামে অনুষ্ঠান হয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে বুধবার দুপুরে জেলা তথ্য অফিস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। তাদের রণাঙ্গনের গল্প শোনান বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
গল্প বলার ফাঁকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ফাত্তাহ শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমরা যারা যুদ্ধ করেছি তাদের বয়স হয়েছে। বেশি দিন হয়তো থাকবো না। তোমাদের এই গল্প মনে রাখতে হবে। সঠিক ইতিহাস তোমাদের জানতে হবে। এ ভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহমান থাকবে।’
যুদ্ধকালালে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন মুন্সি রেজাউল ইসলাম। তিনি বঙ্গবন্ধুর মাগুরা আগমনের গল্প শোনান শিক্ষার্থীদের। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এমন এক নেতা যাকে ছাড়া বাংলাদেশ কখনও স্বাধীন হতে পারতো না। তার ডাকে আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খালি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।
‘না ছিল তখন কোনো অস্ত্র, না ছিল প্রশিক্ষণ। শুধু বঙ্গবন্ধুর মুখের কথায় আমরা যুদ্ধ করি। বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছি তোমাদের ভাল রাখার জন্য।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের গর্বের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই পড়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান রইল।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না, জেলা তথ্য অফিসার রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, সহসভাপতি রেজাউল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান।
আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও স্থানীয় শিশু শিল্পীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।