বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতুড়িপেটায় যুবলীগ নেতা জখম

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ২৩:০৩

অভিযোগ রয়েছে, বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মৃধাকে লাঞ্ছিত করার জেরে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের নির্দেশে তার লোকজন ফাহাদের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি মাথা, কপাল ও চোখের গুরুতর জখম হয়েছেন।

বরগুনার আমতলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার জেরে ইফতিখার হাসান আল ফাহাদ নামের এক যুবলীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফাহাদ আমতলী উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মৃধাকে লাঞ্ছিত করার জেরে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের নির্দেশ তার লোকজন ফাহাদের ওপর হামলা চালান।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে ফাহাদ আমতলী থানার সামনে দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মৃধা দোকানে ঢোকার সময় এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলাম ওই পুলিশ কর্মকতাকে গালি দেন।

এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা ফাহাদ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে নুরুল ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি তখন মিটমাট হয়। সন্ধ্যায় পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়ের বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে আবুল কালাম আজাদসহ ৮-১০ জনের একটি দল ফাহাদকে পিটিয়ে জখম করে। এতে তার মাথা, হাত, কপাল ও চোখে গুরুতর জখম হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

ফাহাদের বড় ভাই আল জাহিদ পহলান বলেন, ‘নুরুল ইসলাম পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের পক্ষের লোক। মতিয়ারের নির্দেশে এবং উপস্থিতিতে নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগনে আবুল কালাম আজাদসহ ১২-১৫ জন আমার ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে মাথাসহ শহীরের ভিবিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর যখম করেছেন। শেষ মুহূর্তে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানও ঘটনাস্থলে আসেন এবং তিনি নিজেও আমার ভাইকে মারধর করেছেন।’

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিকেলে চায়ের দোকানে ফাহাদ আমার সাথে দুর্ব্যবহার ও একপর্যায়ে চেয়ার ছুড়ে লাঞ্ছিত করেছিল। এ খবর শুনে আমার লোকজন সন্ধ্যায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসে। হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম মৃধাকে যুবলীগ নেতা ফাহাদ লাঞ্ছিত করেছিল। আমি গিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে আসি। সন্ধ্যায় কী ঘটেছে জানি না।’

হামলায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি মিটমাট করার জন্য আমি সেখানে গিয়েছিলাম।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘ফাহাদ নামের এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। তবে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর