বগুড়ায় প্যারোলে মুক্ত হয়ে মঙ্গলবার শপথ নিয়ে আবার কারাগারে গেলেন কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি শপথ নেন কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর তার কার্যালয় থেকে তাকে ভার্চুয়ালি শপথ বাক্য পাঠ করান।
আমিনুল ইসলাম শপখ বাক্য পাঠ করার সময় বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবারই রাজশাহীতে শপথ নিয়েছেন বগুড়া পৌরসভাসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা। রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বগুড়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে উট পাখি প্রতীকে নির্বাচনে করে জয়লাভ করেন আমিনুল। আমিনুল বগুড়া সদর যু্বলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়।
এর মধ্যে একটিতে আমিনুলকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নামে মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন।
মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়। বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ার পরপরই বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।
এ আদেশের পর গত ৪ মার্চ আমিনুলসহ ১৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগের দিন আত্মসমর্পণ করা অন্য ১৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।