আদালত থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলা। দুইজনকে মারধর করে ও কুপিয়ে ফেলে যাওয়া হয় সড়কে। গুরুতর অবস্থায় তাদের নেয়া হয় হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়ার সময় আবারও হানা দেয় দুর্বৃত্তরা, যা ধরা পড়ে ক্লোজড সার্কিট টিভি (সিসিটিভি) ক্যামেরায়।
গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিটিভির এই ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা হলেন মো. রবিন ও মো. আরিফ। তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। হামলার অভিযোগ উঠেছে ‘সন্ত্রাসী’ শাহিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ বলছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা। তবে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর জজ আদালতে এক মামলায় হাজিরা দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রবিন ও আরিফ। সেখান থেকে বের হওয়ার পরপরই রাজবাড়ি মাঠ এলাকায় শাহিনের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে তাদের ওপর হামলা হয়।
লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তাদের কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে শহিদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর সেখানেও হানা দেয় শাহীন ও তার লোকজন। পরে আরিফ ও রবিনকে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার সময় ৭/৮ জন অতর্কিত হাসপাতালে ঢুকে তাদের মারধর করে। পরে রোগীদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাধিক কর্মী নিউজবাংলাকে জানান, চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেম্পুস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে এ হামলা হয়। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।