বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জে ফটোসাংবাদিককে পিটিয়ে রক্তাক্ত

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ২১:৩৯

ফতুল্লা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান জানান, ফটোসাংবাদিক প্রীতমের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

নারায়ণগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় একটি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক মাহমুদুর রহমান প্রীতম।

নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের কারগারের বিপরীত পাশে ট্রাক স্ট্যান্ডের মালিক ও শ্রমিকরা তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে মো. সেলিম নামে আরও একজন ফটোসাংবাদিক আহত হন।

খবর পেয়ে অন্য সাংবাদিকরা গিয়ে প্রীতমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন মাহমুদুর রহমান প্রীতম। তিনি স্থানীয় পত্রিকা সংবাদর্চচায় কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।

ফতুল্লা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান জানান, ফটোসাংবাদিক প্রীতমের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

অভিযোগে প্রীতম বলেছেন, দুপুরে নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ডের মালিক ও শ্রমিকরা একটি জমি দখল করতে যান। তারা সেখানে থাকা বেশ কিছু দোকান ঘর ভাংচুর করেন। এই খবর পেয়ে সেখানে ছবি তুলতে যান তিনি।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকটি ছবি তোলা হলে মালিক ও শ্রমিকরা তাকে বাধা দেন। তারা তার ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। তাদের কাছে ক্যামেরা চাইতে গেলে মারধর শুরু করেন।

নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সেক্রেটারি বজলুর রহমান রিপন ওরফে হাজী রিপন তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। পরে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান (৪৫), মালিক সমিতির সদস্য হারুন অর রশিদ (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জন তাকে মারধর করেন।

মাহমুদুর রহমান প্রীতম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় মারধর করে আমার নিকন ডি ৭০০ মডেলের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। শ্রমিক নেতা হাজী রিপন স্টিলের পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেছে। তারপর মালিক ও শ্রমিকরা মিলে মেরে রক্তাক্ত করে। পরে সাংবাদিকরা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান। তিনি বলেন,‘ মালিক ও শ্রমিকরা মিলে আমাদের জায়গার ওপর সাইবোর্ড টানাতে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন সাংবাদিক ছবি তোলেন। এ সময় শ্রমিকরা না বুঝে তাকে মারধর করে। ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্খিত।’

এ বিভাগের আরো খবর