তিস্তা নদী মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণসহ ছয় দফা দাবিতে ২৩০ কিলোমিটারব্যাপী ‘স্তব্ধ’ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তাপাড়ের মানুষকে এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে নগরীর রাজা রামমোহন ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী।
একই দাবিতে গত বছরের ১ নভেম্বর ২৩০ কিলোমিটার এলাকায় মানববন্ধন করেছিল সংগঠনটি।
নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪৮ বছর পরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ভারত একতরফাভাবে তিস্তা থেকে পানি প্রত্যাহার করছে। এ কারণে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। তিস্তা ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। তিস্তার পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীর বুক ভরাট হয়ে গেছে। শাখা-উপশাখার সব মুখ বন্ধ ও দখল হয়েছে। এর ফলে বর্ষায় তিস্তা নদীর তীরের জনপদ এবং নিম্নাঞ্চলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার এ সফরে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিস্তা পাড়ের এক লাখ মানুষের সই করা একটি বই রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলন পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ড. তুহিন ওয়াদুদ, ছাদেকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম কানু মিয়া, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, আমিন উদ্দিন বিএসসি, মোজাফফর হোসেন, গোপাল চন্দ্র বর্মণসহ অনেকে।