নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ময়নাতদন্তের জন্য মৃত্যুর ১১ দিন পর সাব্বির আহম্মেদ নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উত্তোলন করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াহিদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সাব্বির হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে।
সাব্বির রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা শান্তিনগর এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। সে উপজেলার রওজাতুল উলুম মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাৎ মোহাম্মদ শাহীন জানান, ১০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদ্রাসাটির এক শিক্ষক জামাল হোসেনকে ফোন করে জানান, সাব্বির গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
জামাল পরে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে সন্তানের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। নিহত সাব্বিরের দেহ গোসল করানোর সময় শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখে তার সন্দেহ হয়।
দাফন শেষে জামাল ১২ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ তিন শিক্ষক ও চার ছাত্রসহ সাতজনকে আটক করে।
এসআই আরও জানান, এ ঘটনায় ওই দিনই সাব্বিরের বাবা জামাল হত্যা মামলা করেন। পরে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জোবায়ের হোসেন, শিক্ষক আজিজুল হক ও শওকত হোসেন সুমনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১৬ মার্চ ওই তিন শিক্ষককে সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেককে এক দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিল্টন হোসেন। রিমান্ড শেষে তারা জেল হাজতে রয়েছেন।