জনতা ফাঁড়ি ঘেরাওয়ের পর মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আব্দুল মুমিন বাপ্পা মিয়ার দেহ ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বটুলী চেকপোস্ট দিয়ে বিএসএফের কাছ থেকে মরদেহটি গ্রহণ করে বিজিবি।
এর আগে মরদেহটি ফেরত আনার দাবিতে সোমবার দুপুরে ফুলতলা বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মরদেহটি আনার ব্যাপারে তখন আশ্বস্ত করেন ৫২-বিজিবির অধিনায়ক। এরপরই মরদেহটি দেশে আনা হয়।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং ফুলতলা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন। ভারতের পক্ষে ছিলেন কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার এবং ইয়াকুবনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সহকারী কমিশনার সুরিন্ধার কুমার।
ফুলতলার ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ নিউজবাংলাকে জানান, পরিবার ও এলাকাবাসীর চাপের মুখে বিজিবি ভারত থেকে মরদেহটি আনার উদ্যোগ নেয়। মরদেহ দেশে আসায় পরিবারের লোকজন কিছুটা হলেও শান্তি পাবেন।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলম সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বলেন, আইনিপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে কিছু সময় ব্যয় হয়। এজন্য মরদেহ আনতে দেরি হয়েছে।
গত শনিবার ভোরে ফুলতলার পূর্ব বটুলী এলাকায় ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে বাপ্পার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। বাপ্পা পূর্ব বটলী গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।