বরিশালের বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াদুদ খন্দকার টিটুর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদার নিজে উপস্থিত থেকে এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় দুজন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে কলসকাঠী ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আহত হেলাল খন্দকার ও মিলন খন্দকারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ এপ্রিল কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মো. ওয়াদুদ খন্দকার টিটু চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
রোববার রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটু খন্দকার তার পরিবারের লোকজন নিয়ে কলসকাঠী ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের বাড়িতে যান।
এ খবর পেয়ে সোমবার দুপুর ১টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্না তালুকদারের নেতৃত্বে হাবিব আকন হাবিব, মেম্বার প্রার্থী মাসুদ সিকদার, মজিদ খান, শহিদ, জাকির হাওলাদার, মনির শরীফ, জব্বার হাওলাদার, বাইজিদ হাওলাদারসহ ৪০-৫০ জন লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে ওয়াদুদ খন্দকারের বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা তার বাড়ির দরজা-জানালা ও কয়েকটি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াদুদ খন্দকার টিটু বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ও নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনে মুন্না তালুকদার আমার বাড়িতে হামলা করেছেন। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে মুন্না তালুকদারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ‘স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াদুদ খন্দকারের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে দুটি গ্রপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।’