চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক সেই মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার দুপুরে আলমডাঙ্গা আমলী আদালতে উপস্থিত করা হলে তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির।
তিনি জানান, রোববার রাতে ওই ছাত্রের মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্র বলাৎকারের ঘটনাটি স্বীকার করেন ওই মাদ্রাসাশিক্ষক।
আলমডাঙ্গা উপজেলার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে শনিবার রাতে ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
এর আগেও ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, তখন মাফ চেয়ে ঘটনা মিটমাট করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তবে এবার তাকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রটির বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে ওই মাদ্রাসা ও হেফজখানার ছাত্র। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে ছেলেকে বিশেষ পড়া শেখানোর কথা বলে ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় তার খাসকামরায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন। পরে আমার ছেলে বাড়িতে এসে আমার কাছে নির্যাতনের বিষয়টি জানায়।
বিষয়টি চাপা থাকলেও সন্ধ্যার পর তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন গ্রামের লোকজন।
এ বিষয়ে ওসি আলমগীর কবির জানান, এর আগেও ওই শিক্ষক একই অপরাধ করে মাফ চেয়ে পার পেয়ে যান। কিন্তু এবার তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।