বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাদ্যপণ্য তৈরির ভেজাল উপকরণ জব্দ, জরিমানা

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ১৬:১১

মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই বাড়িতে খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ২৩ ধরনের উপকরণ প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল। ফুডি নামের একটি কোম্পানির মোড়ক লাগানো হচ্ছিল প্যাকেটগুলোতে।  

বরিশাল নগরীর একটি বাড়ি থেকে খাদ্যপণ্য তৈরির ভেজাল সরঞ্জাম ও উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।

‘ফুডি’ নামের একটি কোম্পানির ওই পণ্যগুলো সেখানে প্যাকেট ও বোতলজাত করা হচ্ছিল।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে গিয়ে জব্দ পণ্য যাচাই শেষে সেগুলো ভেজাল হিসেবে চিহ্নিত করে ‘ফুডি’র মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

নগরীর সিঅ্যান্ডবি ১ নম্বর পুলসংলগ্ন ইসলামপাড়া এলাকার সবুজ ভিলায় রোববার রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার নরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এই বাসায় অভিযান চালিয়েছি। এখানে বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে খাদ্যদ্রব্য রয়েছে, যা আমাদের ভেজাল মনে হচ্ছে। আমাদের ধারণা এগুলো অবৈধ।

‘এসেই এখানে বেকিং পাউডার প্যাকেটজাত করতে দেখেছি। আমরা আরও খুঁটিনাটি বিষয় দেখছি। রাত হয়ে যাওয়ায় আমরা এই বাসা আটকে দিয়েছি। এখানে পুলিশ সদস্য থাকবে পাহাড়ায়। সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

পুলিশের দেয়া খবরে সোমবার সকালে সেখানে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাহাতুল ইসলাম ও বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা।

মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ওই বাড়িতে বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে নকল খাদ্যদ্রব্য রয়েছে।

‘বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখেছেন যে এখানে কাপড়ের রং ফুড কালারের মোড়ক লাগানো কাচের বোতলে ভরা হচ্ছিল। এমন আরও কিছু ভেজাল জিনিস পাওয়া গেছে। এগুলোতে বিএসটিআইয়ের সিল পাওয়া যায়নি। এখানে বসে অবৈধ ও নকল পণ্য মজুত, সরবরাহ ও প্যাকেটজাত করা হয়।

‘এখানে নকল চকলেট, সাবান এবং তেলসহ নানা পণ্য পাওয়া গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাহাতুল ইসলাম মোবাইল কোর্টে পণ্যের এসব কাজ পরিচালনাকারী পারভেজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি জব্দ মালামাল ধ্বংস করা হয়।’

মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই বাড়িতে খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ২৩ ধরনের উপকরণ প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল। ফুডি নামের একটি কোম্পানির মোড়ক লাগানো হচ্ছিল প্যাকেটগুলোতে।

এই পণ্যগুলো ঢাকার মিরপুরের ফুডি ফুড প্রোডাক্টসের নামে সাপ্লাই দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর